Ad Code

Responsive Advertisement

জবা ফুলের অসাধারন সব ঔষধি গুণাগুণ, জানলে অবাক হবেন।

জবা ফুলের অসাধারন সব ঔষধি গুণাগুণ, জানলে অবাক হবেন।

জবা ফুলের অসাধারন সব ঔষধি গুণাগুণ, জানলে অবাক হবেন।


দেখতে অনেকটাই সাদামাটা ধরনের আর গন্ধহীন। কিন্তু জবা ফুলের রয়েছে অসাধারণ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা। ঔষধি গুনাগুণ সমৃদ্ধ জবা ফুলে আমাদের অনেক রোগের ঔষধ হিসাবে ব্যবহার করি যেমন: বমনের প্রয়োজনে, অনিয়মিত মাসিকের স্রাব, মাসিক ঋতুর অতিস্রাবে, চোখ উঠা, মাথায় টাক পোকা, হাতের তালুতে চামড়া উঠা ইত্যাদি।


জবা ফুলের ব্যবহার ও উপকার জানুন

বমি করতে চাইলে:- অসাত্ম্য দ্রব্য খেয়ে ফললে যদি বমি করার প্রয়োজন হয়, যেমন অজান্তে মাছি, চুল অথবা এই ধরনের কোন জিনিস পেটে গিয়েছে, এর পরিণতিতে বমির উদ্রেগ হয়, অথচ শত চেষ্টার ফলেও বমি হচ্ছে না, এই সময় মোটামুটি ৪/৫ টি জবা ফুল নিবেন আর নিয়ে ভালো করে দেখবেন বোঁটার সঙ্গে যে সবুজ কালারে ক্যালিকাসের অংশ থাকে, এই অংশ টাকে বাদ দিয়ে ফুল অংশটাকে পানি(জল)  ও চিনি পরিমাণমত দিয়ে চটকে বা ভালো করে বেটে সরবত করে দিনে ২/১ বার খেলে বমি হয়ে পেট থাকে ও গুলি সব বেরিয়ে যাবে।


ঘন ঘন প্রস্রাব বন্ধ করতে:- যারা বেশি পরিমাণে পানি পান করে নেয় আর ঘন ঘন প্রস্রাব করে অথচ ওই ব্যক্তি ডায়াবেটিস এর রোগী নয়, এই সময় জবা গাছের কান্ডের ছালের রস এক কাপ জলের সাথে পরিমাণমত চিনিসহ ভালো করে মিশিয়ে ৭/৮ দিন খেলে খুবই ভালো উপকার পাওয়া যায়।


অনিয়মিত মাসিকের স্রাব হলে কি ভাবে ব্যবহার করবেন:- মাঝে মাঝে দুই এক দিন একটু একটু হয়ে থাকে, আবার কখনো সময় হয়ে গিয়েছে তবুও হয়না আবার কারো কারো হয়তো এক মাস বন্ধ হয়ে থাকলো, ঠিক এই রকমের যদি হয় তবে দু থেকে তিনটি পঞ্চমুখী জবা ফুলের কুঁড়ি নিবেন ও ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি দারুচিনি আধা অথবা এক গ্রাম এক সঙ্গে বেটে সরবত করে কয়েকদিন খেতে হয়। রসের সাথে এক গ্লাস পরিমাণ পানি মিশিয়ে সকালে কিছু খাওয়ার পর ঋতুকালীন সময়ে দিনে একবার করে ৩/৪ যত দিন না মাসিক স্বাভাবিক হয় ততক্ষন পর্যন্ত খেতে হবে।


চিরযৌবন ধরে রাখতে জবা ফুল :-  জবা ফুলে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট প্রচুর থাকে, তাই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ জবা ফুল শুধু ক্যান্সার প্রতিরোধই করে না, কেউ যদি নিয়মিত এই জবা ফুল আহার করে থাকে তবে তার বয়স বাড়ার প্রবণতাকে ধীর গতি সম্পন্ন করে তুলতে সহয়তা করে। ফলে এই জবা ফুল একজনকে চিরযৌবন এনে দিতে পারে।


ব্রণ থেকে মুক্তির উপায়:- আমাদের দেশে ব্রণের একিট সাধারণ সমস্যা। বিভিন্ন ব্রণ প্রতিরোধক উপকরণেও এটি উপশম করা সম্ভব হয় না। এর জন্য প্রাকৃতিক গুণসম্পন্ন জবা ফুল অনেক উপকারী। কেননা প্রাকৃতিক অ্যান্টি ইনফ্ল্যামাটরি উপাদান এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই জবা ফুল ব্রণের সমস্যা প্রাকৃতিকভাবেই নির্মূল করে থাকে।


হজমে সহায়তা:- প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিয়ম করে এই জবা ফুল খেলে শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে এবং হজমক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে শারীরিকভাবে সুস্থ রাখে। জবা ফুল হজমেও সহায়তা করে।


চুল পড়া বন্ধ করতে জবা ফুল:-  প্রাকৃতিক গুণসম্পন্ন এই জবা ফুল চুলে বিভিন্ন পুষ্টি প্রদান করে চুল পড়া বন্ধ করে এবং চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করে উজ্জ্বল আর ঝলমলে করে তোলে। নারিকেল তেলের সাথে জবা ফুল মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করলে চুল কালো হয় এবং চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা পায়। প্রাকৃতিকভাবেই এই ফুলটি রোদের তাপে চুল ধূসর হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচায়।


স্কাল্পের চুলকানি কমানোর কাজে:-  জবা ফুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন A আর C। যা আপনার স্কাল্পের চুলকানি রোধে সাহায্য করে থাকে। এছাড়া স্কাল্পের যেকোনো সমস্যার  রোধ করতে জবা ফুলের জবা ফুলের বিকল্প নেই। কিছু পরিমান পানিতে কয়েকটি জবা ফুল সিদ্ধ করতে হবে। তারপর সেই পানি ঠান্ডা হলে চুলে লাগাতে হবে। এর ফলে দেখবেন স্কাল্পের চুলকানি কমে গেছে।


চুল কালো রাখতে জবা ফুল:- যদি আপনি কিছু পরিমান নারিকেল তেলের সাথে জবা ফুল মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করেন তবে আপনার চুল কালো হয় এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। প্রাকৃতিক ভাবেই এই ফুলটি রোদের তাপে চুল ধূসর হয়ে যাওয়া থেকে আমাদের কে বাঁচায়।


শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে জবা ফুল:- প্রচুর পরিমান অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ জবা ফুল দেহের শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে এবং আমাদের প্রাকৃতিক শারীরিক সুস্থতা প্রদান করে থাকে।


টাক পড়ে যাওয়ায় জবা ফুল:-  চুল স্বাভাবিক আছে অথচ ফাঙ্গাসে কিছু জায়গা চুল উঠে টাক হয়ে গেছে এ অবস্থায় জবাফুল বেটে ওখানে লাগালে কিছু দিনের মধ্যে চুল উঠে যাবে। এক /দুইটা ফুল বেটে ৭/৮ দিন যে কোনো সময় লাগাতে হবে এবং দুই/এক ঘণ্টা রাখতে হবে অথবা যতক্ষণ সম্ভব রাখতে হবে।


চোখ উঠা:-  চোখের কোণে ক্ষত হয়ে পুঁজ পড়ছে। সে ক্ষেত্রে জবা ফুল বেটে চোখের ভিতরটা বাদ দিয়ে চোখের উপর ও নিচের পাতায় গোল করে লাগিয়ে দিলে উপকার পাওয়া যায়। দিনের যে কোনো সময় এক /দুইটা ফুল বেটে ৭/৮ দিন লাগাতে হবে এবং এক ঘন্টা রাখতে হবে।


হাতের তালুতে চামড়া উঠা:- শীত কালে হাতের তালুতে চামড়া উঠে খসখসে হয়ে গেলে জবা ফুল তালুতে মাখলে খুব উপকার পাওয়া যায়। দিনে দুই তিন বার এক /দুইটা ফুল হাতের মধ্যেই ডলে ডলে লাগাতে হবে । লাগিয়ে স্বাভাবিক কাজ কর্ম করা যাবে। যতক্ষণ সম্ভব রাখতে হব ।


শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে:-  অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ জবা ফুল দেহের শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে এবং প্রাকৃতিক শারীরিক সুস্থতা প্রদান করে।


বয়স ধীর গতিতে বৃদ্ধি পায়:-  অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ জবা ফুল শুধু ক্যান্সার প্রতিরোধই করে না নিয়মিত এই জবা ফুল আহারে আমাদের বয়স বাড়ার প্রবণতাকে ধীর গতি সম্পন্ন করে তুলতে সহয়তা করে। ফলে এই জবা ফুল একজনকে চিরযৌবন এনে দিতে পারে।


সতর্কতা:- যে কোনো ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করার আগে অবশ্যই বিশেষ করে চিকিৎসক এর পরামর্শ নিবেন। ধন্যবাদ


Post a Comment

0 Comments

Close Menu